৮৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধ ও তার ৮০ বছর বয়স্ক বৃদ্ধা স্ত্রী রোড অ্যাকসিডেন্ট করে মারা গেল। তাদের এতদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার মূল কারন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। বৃদ্ধা খাবারের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। সব সময় লো ফ্যাট খাবার খেতন। মাংস তো একেবারেই খেতেন না। তাই বুড়ো বুড়ি বেশ সুস্থই ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
যাই হোক মৃত্যুর পরে তাদেরকে স্বর্গে পাঠানো হলো। বৃদ্ধ আর বৃদ্ধা সেখানে যেয়ে দেখে পুরাই রমরমা অবস্থা। তাদের কে থাকার জন্য বিশাল এক ডুপ্লেক্স বাড়ি দেওয়া হল। কি নেই সে বাড়িতে- সুইমিং পুল, জাকুজি আরও কতো কি! বৃদ্ধ স্বর্গের কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞেস করলো এই বাড়ির জন্য তাদের মাসিক কতো টাকা ভাড়া দিতে হবে। কেয়ারটেকার বলল এটা স্বর্গ। এখানে সব ফ্রি। বৃদ্ধ- বৃদ্ধা তো বেজায় খুশি।
পরের দিন। সকালে তারা ঘুরতে বেড়িয়ে দেখে তাদের জন্য একটা ব্র্যান্ড নিউ রোলস রয়েস দাঁড়ানো। সাথে ড্রাইভার। বৃদ্ধ লোকটা ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করলো এই গাড়ির জন্য তাদের কতো টাকা দিতে হবে? ড্রাইভার হেসে বলল এটা স্বর্গ। এখানে সব ফ্রি।
সারা সকাল স্বর্গে ঘুরে বেরিয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দুপুরে একটা হাই ফাই রেস্তোরাঁতে ঢুকলো লাঞ্চ করতে। সেখানে ঢুকে দেখে এলাহি কারবার। সারা পৃথিবীর কুইজিন নিয়ে সাজানো ব্যুফে। বৃদ্ধ সেখানের কেয়ার টেকার কে জিজ্ঞেস করলো খাওয়ার জন্য কতো বিল দিতে হবে? কেয়ার টেকার হেসে বললো আপনি এখনও বোঝেন নি? এটা স্বর্গ। এখানে সব ফ্রি। এবার বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করলো লো ফ্যাট খাবার কোথায়। কেয়ার টেকার বলল স্বর্গে যাই খাওয়া হোক না কেন কখনো চর্বি হবে না বা কোন অসুখ হবে না। এইবার বৃদ্ধ গেলো রেগে। হাত থেকে ছুড়ে ফেলে দিলো প্লেট। কেয়ার টেকার ও বৃদ্ধা তো অবাক। বৃদ্ধা জিজ্ঞেস করলো- কি হয়েছে?
তুমি যদি ওই বালছাল না খাওয়াতা তাহলে আমরা আর ১০-২০ বছর আগেই স্বর্গে আসতে পারতাম– বৃদ্ধর রাগান্বিত উত্তর।