ভার্সিটিতে একবার এক বড় আপু আমাকে বলেছিল “রাজু কখনো ডার্ক কালারের সানগ্লাস পরে কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি না”। আমি খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন আপু? উত্তরে বলেছিল- “আমরা খুব ইনসিকিউর ফিল করি রে”।
আমার মাইগ্রেনের প্রবলেম আছে। রোদে ডার্ক কালারের সানগ্লাস না পরে বের হলে প্রচুর মাথা ব্যাথা হয়। প্রচন্ড রোদ হলেও সেদিনের পর থেকে আমি চেষ্টা করি কোন মেয়ের/মহিলার সাথে কথা বলার আগে সানগ্লাস খুলে নিতে। হয়তো মাঝে মাঝে মনে থাকে না।
প্রায় প্রতিটি পুরুষের ভেতরে একটা পটেন্সিয়াল রেপিস্ট বাস করে। সংস্কার, মানবিকতা, দুঃখজনক হলেও সত্য অনেক সময় সাহসের অভাব সেই পটেন্সিয়াল রেপিস্ট কে আটকে রাখে। আপনি হয়তো অবাক হচ্ছেন আমি কেন বললাম প্রায় প্রতিটি পুরুষের মধ্যে একটা পটেন্সিয়াল রেপিস্ট বাস করে তাই না? যদি কখনো সময় পান তাহলে বিভিন্ন যুদ্ধের সময়ের নারী নির্যাতনের ইতিহাস একটু ঘেঁটে দেখবেন।
আমরা সবাই, যারা চোখ কান খোলা রাখি, জানি যে এ সমাজ কতটা দুর্গন্ধময়। বাইরে থেকে চকচকে এ সমাজের ভেতরটা একেবারেই পুঁজের থেকেও নিকৃষ্ট। এ দুর্গন্ধের একমাত্র কারণ যে পুরুষ তা কিন্তু না। একজন নারী যখন তার ছলনা কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তখন সে অস্ত্রের ধ্বংসলীলা পারমাণবিক অস্ত্রের মতোই ভয়ঙ্কর।
কিছুদিন আগে জাপানের একটা গ্রামের ভিডিও দেখেছিলাম। সেই গ্রামের যে ড্রেনেজ সিস্টেম সেটা আমাকে খুব অবাক করেছিল। কি দারুন পরিষ্কার ড্রেন। ঝাঁকে ঝাঁকে রঙিন মাছ সাঁতরে বেড়াচ্ছে সেই ড্রেনে। ওরা সেইসব ময়লাই ড্রেনে ফেলে যেগুলো মাছেরা খেতে পারবে। হয়তো ভাবছেন হঠাৎ ড্রেনের কথায় কেন এলাম! সঠিক পরিচর্যা হলে ড্রেন ও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।
আপনার সন্তানকে মানুষকে সম্মান দিতে শেখান। আমার এক পরিচিতজনের বাচ্চা, বছর পাঁচেক বয়স, একদিন আমাকে বলছে অমুকরা তো হিন্দু তাই আমি খুব একটা খেলি না ওদের সাথে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম ওর মুখের দিকে। একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা কেন এমন করে ভাববে? যাদের বাচ্চা বড় হচ্ছে প্লিজ আপনারা আপনার বাচ্চাকে মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিতে শেখান হোক সে ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন লিঙ্গের। আপনি আমি আমরা মিলেই সমাজ। আমরা চাইলেই পারি এই সমাজকে ময়লার ভাগাড় থেকে ফুলের বাগান বানাতে। হ্যা সময় লাগবে, কিন্তু আজ থেকেই শুরু করুন, সন্তানের সাথে কথা বলুন, তাকে মানুষকে ভালোবাসতে শেখান।